হুগলীর বেগমপুরে আটকে পড়া ৬৭ জন পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরানোর উদ‍্যোগ নিলেন বিধায়ক

9th June 2020 হুগলী
হুগলীর বেগমপুরে আটকে পড়া ৬৭ জন পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরানোর উদ‍্যোগ নিলেন বিধায়ক


নিজস্ব সংবাদদাতা ( হুগলী ) : দিল্লীর ৬৭ জন যাযাবর  মানুষের হাতে তাদের দেশে ফেরার ট্রেনের সংরক্ষিত টিকিট তুলে দেওয়া হল ।।
  দিল্লীর প্রেমনগর থেকে কিছু মানুষ প্রত‍্যেক বছর ই এ রাজ‍্যে আসে তাদের বিভিন্ন ঔষাধি বিকিকিনির জন‍্য। সেই রকম ই ৬৭ জনের একটি দল হুগলীর বেগমপুরে এসে লকডাউনেরয়জন‍্য আটকে পরে। তারপর থেকেই তারা হুগলীর বেগমপুরে দীর্ঘদিন আটকে ছিল। বাড়ি ফেরার মতো ছিল না কোন টাকা পয়সা । স্থানীয় মানুষের সহযোগীতায় দিন কাটছিল তাদের।। এই অবস্থায় স্থানীয় বেগমপুর পঞ্চায়েতের উদ‍্যোগে এবং বিধায়ক বেচারাম মান্নার সহযোগীতায় তাদের ঘরে ফেরার ট্রেনের সংরক্ষিত টিকিট হাতে তুলে দেওয়া হল।। আগামী কাল সকালে হাওড়া - দিল্লী শ্রমিক স্পেশালে হাওড়া থেকে র ওনা দেবে দিল্লীর উদ‍্যেশে। আগামীকাল সকালে পুলিশে সহযোগীতায় তাদের গাড়ি করে পৌছে দেওয়া হবে হাওড়া স্টেশনে।। গাড়িতে যাবার তাদের পর্যাপ্ত খাবার সামগ্ৰী বেগমপুরের স্থানীয় মানুষজন ও ব‍্যবসায়ীরা প্রদান করেছে।।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।